রাজশাহীতে এক ব্যক্তির চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল রিকশাচালকের যোগসাজশে। পুলিশ মাসুম (৩০) নামের ওই রিকশাচালককে গ্রেফতার করেছে। তিনিও ছিনতাই কাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মাসুমের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠাকুরমান্দা গ্রামে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানার একটি দল। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২০ এপ্রিল) বোয়ালিয়া থানা সংলগ্ন ঘোড়ামারা এলাকায় মাসুমের রিকশায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন দিলীপ কুমার প্রামানিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি রিলায়েন্স অটো নামের একটি অটোরিকশা যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকানের ব্যবস্থাপক। আগের দিনের (শনিবার) বিক্রির ১৩ লাখ টাকা তিনি কুমারপাড়া চালপট্টি এলাকায় মহাজনের বাসায় রেখেছিলেন। রবিবার সকালে সেই টাকা নিয়ে শিরোইল ঢাকা বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি ঘোড়ামারা এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ পাশের একটি সরু গলির দিকে মোড় নেয়। তখনই মোটরসাইকেলে থাকা দুই জন এসে রিকশার সামনে ব্যারিকেড তৈরি করে। এ সময় একজন দিলীপের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়।
তিনি চিৎকার করার মধ্যেই ছিনতাইকারীরা তার পিঠে ঝুলে থাকা ব্যাগ টানতে শুরু করে। প্রতিরোধ করতে গেলে ছুরি চালিয়ে তার ডান কনুই ও বাম হাতের একটি আঙুল কেটে দেয় তারা। ধস্তাধস্তির সময় ব্যাগ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা রাস্তায় পড়ে যায়। আর সাড়ে ১০ লাখ টাকার মূল ব্যাগ নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর রিকশাচালক কোনও ভাড়া না নিয়েই পালিয়ে যান। ফলে তার ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই রিকশাচালককে শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় রিকশাচালক মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।