পাবনা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসে শুনানি চলকালে এজলাসে দাঁড়িয়ে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আহত করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের মধ্য ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার শুনানি চলা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যর নাম শাহ আলম (৫৫)। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দলের ঈশ্বরদী পৌরসভা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়াল কবির (৩৮), সরোয়ার জাহান (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের কালাম খান (৪০), এম এস কলোনি এলাকার রুবেল হোসেন (৩৩), লোকশেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের জহুরুল ইসলাম (৩৫)। তারা সবাই ২০২৩ সালের একটি নাশকতা মামলার আসামি এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে একটি রাজনৈতিক নাশকতার ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। মামলাটিতে গ্রেফতার আট ব্যক্তি হাজিরা দিতে এসেছিলেন মঙ্গলবার দুপুরে। শুনানি চলা অবস্থায় আসামিরা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এতে বিচারকের সামনেই এজলাসে থাকা আসামিরা ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তারা ওই পুলিশ সদস্যকে মারপিট শুরু করেন। সেখানে থাকা আইনজীবী ও অন্যরা গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করেন। একইসঙ্গে আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে ছয় জনকে আটক করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মারধরের ঘটনার পরই অভিযুক্ত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নতুন করে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আদালতের এজলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘আদালত পরিদর্শক বিষয়টি দেখছেন। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’