নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী জাহিদুল ইসলামের ৭ বছর বয়সী মেয়ের ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহতের প্যান্ট দিয়ে গলা মোড়ানো ছিল।
ওই শিশুর নাম জুঁই। সে স্থানীয় হেফজখানার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তথ্যমতে, নিজ বাড়ির ২০০ গজ দূরে দ্বিতীয় দাদির বাড়ি ওই শিশুর। ওই দাদির কাছেই ছোটবেলা থেকে সে বড় হচ্ছে। ঈদের আগে জুঁইয়ের আপন দাদি চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি এসেছেন।
সংশ্লিষ্ট পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার কিছু আগে জুঁইকে তার দ্বিতীয় দাদি প্রথম দাদির কাছে পাঠায় কিছুটা দুধ নিয়ে যেতে। ওই দুধ নিয়ে গেলে তিনি সেমাই রান্না করবেন। কিন্তু রাতে আর সেখানে যায়নি জুঁই। মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় যেতে সহপাঠীরা জুঁইকে ডাকতে এলে দ্বিতীয় দাদি তার মা ও প্রথম দাদির কাছে জুঁইয়ের খোঁজ করলে জানতে পারেন সেখানে জুঁই যায়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে চতুর্দিকে শুরু হয় খোঁজ। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ির পাশেই পাবনা জেলার চাটমোহর এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেতে পাওয়া যায় জুঁইয়ের মরদেহ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় দফাদার শাহজাহান আলীর দাবি, মরদেহের গলায় জুঁইয়ের প্যান্ট দিয়ে মোড়ানো ছিল। ঘাড়-মাথা এদিক-ওদিক গড়িয়ে পড়ছিল। হয়তো ওই প্যান্ট দিয়ে ঘাড় মচকিয়ে জুঁইকে হত্যা করা হতে পারে। এ ছাড়া জুঁইয়ের চোখ-মুখ ও শরীর ঝলসানোর মতো মনে হয়েছে। হয়তো এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঝলসানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলা হলেও মরদেহটি পাওয়া যায় চাটমোহর এলাকায়। ফলে মামলা হবে চাটমোহর থানায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিশুটির শরীর কোন দাহ্য পদার্থ দিয়ে পোড়ানো হয়েছে এমনই মনে হয়েছে।