বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৬০) নামে এক গ্রাম্য কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম উত্তরপাড়া গ্রামে কবরস্থানের পশ্চিমপাশে চারমাথায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র, মোবাইল ফোন ও চাদর উদ্ধার করেছে।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, পূর্ববিরোধে আবদুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আকবর আলী শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আকিজ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় গ্রাম্য কবিরাজ এবং মাঝে মাঝে স্থানীয় মাজারে যাতায়াত করতেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে আকবর আলীকে দেখা যায়। তার সঙ্গে ধরমোকাম দক্ষিণপাড়ার ওসমান আলীর ছেলে আবদুল লতিফ (২৮) ছিলেন। রাত ১১টার দিকে ধরমোকাম সড়কের চারমাথায় দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আবদুল লতিফ পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আকবর আলী সেখানে পড়ে ছিলেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি ধারালো দা, চাদর ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
নিহতের ছেলে শাহ জামাল ও তার স্ত্রী দাবি করেন, রবিবার রাত ৮টার পর শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ওয়ার্ড শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল লতিফের ফোন পেয়ে বাবা বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা একটি দোকানে একসঙ্গে চা পান করেন। রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশীর কাছে তার বাবাকে চারমাথা এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আকবর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী মাজেদা খাতুন হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ঘটনার পর আবদুল লতিফ পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।
বগুড়ার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত আকবর আলী গ্রাম্য কবিরাজ ছিলেন। স্থানীয় মাজারে যাতায়াত করতেন। তার সঙ্গে আবদুল লতিফের টাকা লেনদেন ছিল। পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, লতিফ তাকে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।