পাবনায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ নিহত ৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতের মধ্যে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের সন্তান রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের উপজেলার বহরপুরে মল্লিকা অ্যাগ্রো ফুডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতরা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

নিহতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বী প্রামাণিক (৩৫), রাব্বীর স্ত্রী মুক্তা খাতুন (২৫), তাদের ১৮ মাসের ছেলেসন্তান মোস্তাকিম এবং ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার রতিডাঙ্গা গ্রামের মো. রাতুল ইসলাম (৩০)। আহত দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাঁচ জন যাত্রী নিয়ে পাবনার দিকে আসছিল। ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া সড়কের টুটলি বহরপুর এলাকায় আসার পর বাসটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে এটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রাব্বী-মুক্তা দম্পতি ও তাদের ১৮ মাসের সন্তান নিহত হন। চালকসহ বাকি তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে রাতুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর দুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসচালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। নিহত চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেলেও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’