বগুড়ার গাবতলীতে নারী ও শিশু নির্যাতন (ধর্ষণ) মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমিনুল ইসলাম রানু (৫৫) দীর্ঘ ২০ বছর পর ধরা পড়েছেন। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তাকে গাজীপুরের বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার (বিএন) এম আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়ার গাবতলী থানার ওসি আশিক ইকবাল ও র্যাব-১২ সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম রানু গাবতলী উপজেলার নিজগ্রাম উত্তরপাড়ার আবদুল করিম মাস্টারের ছেলে। তিনি ২০০৫ সালে গাবতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন (ধর্ষণ) মামলার আসামি হন। গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ২০১০ সাল থেকে গাজীপুরে ছদ্মবেশে বসবাস শুরু করেন।
বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওই মামলায় ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা জানতে পারেন, সাজাপ্রাপ্ত এই পলাতক আসামি গাজীপুরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থান করছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার সকালে তাকে বগুড়ার গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাবতলী থানার ওসি আশিক ইকবাল জানান, দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রানুকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।