বগুড়ার আদমদীঘিতে সাবরেজিস্ট্রার মুদাচ্ছির হাসানকে প্রত্যাহারের দাবিতে দলিল লেখকেরা গতকাল (রবিবার) সপ্তম দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। দলিল সম্পাদন না হওয়ায় বিপুলসংখ্যক দাতা-গ্রহীতা রেজিস্ট্রি অফিসে এসে ফিরে গেছেন। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কর্মসূচিতে বক্তারা অবিলম্বে নবাগত সাবরেজিস্ট্রার মুদাচ্ছির হাসানকে প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আইয়ুব হোসেন জানান, প্রায় এক বছর আগে সাবরেজিস্ট্রার নিলুফা পারভিন বদলি হন। শূন্য পদে এস এম কামরুল হোসেন খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করেন। গত ৭ জুলাই মুদাচ্ছির হাসান নতুন সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। পরদিন সোমবার তিনি নোটিশের মাধ্যমে দলিল লেখকদের অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বলেন। দলিল লেখকরা ব্যস্ততা ও অসুবিধার কারণে সেদিন সাক্ষাৎ করেননি। তারা মঙ্গলবার সাবরেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে দলিল লেখকদের হুমকি-ধমকি ও লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেন। তখন দলিল লেখকেরা সাবরেজিস্ট্রারের অফিস ত্যাগ করেন।
এদিকে সাবরেজিস্ট্রারের অশোভন আচরণ ও লাইসেন্স বাতিলের হুমকির খবরটি প্রচার হলে দলিল লেখকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে তার অপসারণের দাবিতে দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। এ কর্মসূচি টানা সাত দিন চলতে থাকায় বিপুলসংখ্যক দাতা-গ্রহীতা জমি কেনাবেচা করতে পারেননি। এতে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম সাবরেজিস্ট্রার মুদাচ্ছির হাসান বলেন, ‘মতবিনিময়ের জন্য দলিল লেখকদের ডাকা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কোনও অসৌজন্যমূলক আচরণ বা লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়নি। তারা কয়েকদিন দলিল রেজিস্ট্রি করতে অফিসে আসেননি।’
এ কর্মসূচিতে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আলেফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, সহসম্পাদক আখতারুজ্জামান রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম, দলিল লেখক হাসানুর রহমান, রুহুল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস, আতোয়ার রহমান, রনজিৎ পাল, জাকির হোসেন মিন্টু, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল মামুন প্রমুখ।