বগুড়ার শিবগঞ্জে এসএসসি পাস করার পর মেধাবী শিক্ষার্থী মাইশা আনজুম মৌ (১৭) কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন করেছিল। চলছিল বিয়ের আলোচনাও। কিন্তু সবকিছু থমকে গেলো শুক্রবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে। এদিন বাড়ির শোবার ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার পায়ে সাপে কামড়ায়। যার ফলে মারা যায় সে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাইশা আনজুম মৌ শিবগঞ্জ পৌরসভার তেঘরী মধ্যপাড়ার ঢালাই মিস্ত্রি মজনু মিয়ার মেয়ে। মৌ এ বছর স্থানীয় শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। রেজাল্ট হওয়ার পর সে কলেজে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছিল। পাশাপাশি চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। শুক্রবার রাতে খাবারের মৌ তার ছোট বোন মোবাশ্বিরা আকতারকে (৮) নিয়ে খাটে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মৌয়ের পায়ে বিষধর সাপ দংশন করে। এতে মৌ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবা মজনু মিয়া ও মা নুর নাহার বেগম বলেন, ‘মেয়ে (মৌ) এবার এসএসসি পাস করার পর কলেজে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছিল। তার সম্মতিতে বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। কিন্তু মেয়ের আর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আশা পূরণ হলো না। বিয়ের পিঁড়িতেও বসা হলো না। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপের ছোবলে তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে পাশের গ্রামের এক ওঝা এসে ঘরে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও সাপটির সন্ধান মেলেনি।’
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ জানান, কলেজভর্তিচ্ছু মেয়েটির সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। কোনও অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।