বগুড়ায় ট্রাকের পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ দুজন নিহত

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ট্রাকের পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় তিন বছর বয়সী শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহত শিশুর বাবা-মা। রবিবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার রণবাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।

নিহতরা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের গাড়িচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম (৩২) ও গাড়িচালক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বেলাল হোসেনের ছেলে বায়েজিদ হোসেন (৩)। নিহত বায়েজিদের গুরুতর আহত বাবা বেলাল হোসেন ও মা সাথি খাতুনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত শহিদুল ইসলাম ও আহত বেলাল হোসেন বগুড়ায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে চাকরি করেন। রবিবার রাতে তারা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে বগুড়ার দিকে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে বেলাল হোসেনের স্ত্রী সাথি খাতুন ও তাদের তিন বছর বয়সী শিশু বায়েজিদ ছিলেন। পথিমধ্যে রাত ১১টার দিকে কাভার্ডভ্যান বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা কৈগাড়ি খানকা শরীফের সামনে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি ট্রাককে ধাক্কা দেন। এতে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম মারা যান।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত বেলাল হোসেন, স্ত্রী সাথি খাতুন ও শিশু বায়েজিদকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বায়েজিদকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসেন জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে যান। কাভার্ডভ্যান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।