রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে চায় ইন্দোনেশিয়া

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো। বুধবার (৫ জুন) বিকাল ৩টায় রাজশাহী নগর ভবনের মেয়র দফতর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আলোচনাকালে রাজশাহীতে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেয়র।

বৈঠকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের হাতে ‘ম্যাংগো ক্রেস্ট’ ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। এ সময় সিটি মেয়রকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় উন্নতমানের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের এক বছর মেয়াদি স্কলারশিপ এবং আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্ষেত্রে তিন মাস মেয়াদী স্কলারশিপ প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের জ্ঞান ও সংস্কৃতি বিনিময় করতে চাই। এ ছাড়া রাজশাহী যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল, তাই এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে এটি আমার প্রথম সফর। রাজশাহীর পরিচ্ছন্নতা ও সিটি মেয়রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ভিশন দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোলার প্লান্ট স্থাপন, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ ও ট্যুরিজমের কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজ করা যায়, সেটি আমরা রাষ্ট্রদূতকে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিতভাবে জানাবো।’

মেয়র বলেন, ‘রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। কৃষিপণ্য ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া শিক্ষানগরী রাজশাহীতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদানের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আগ্রহী। এটি চালু হলে জ্ঞান বিনিময়ে উভয় দেশ লাভবান হবে।