নির্বাচনে হেরে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে মূত্রত্যাগ

নির্বাচনে হেরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে মূত্রত্যাগ করেছেন মো. জহিরুল ইসলাম রুবেল নামের এক প্রার্থী। তিনি গত জুনে অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। ভোটে হেরে যাওয়ার ক্ষোভ থেকে রুবেল এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। 

রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে শহরের চন্ডিপুর-ঝাউতলা মোড় এলাকায় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে একটি গাড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সরকারি কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর গাড়ির চালকের আসন থেকে নামেন জহিরুল ইসলাম রুবেল। পরে কাউন্সিলর কার্যালয়ের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ (প্রস্রাব) করেন তিনি। এ সময় কার্যালয়ের এক নারী কর্মীকে বের হয়ে আসার পথে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায়। দুই মিনিট পর গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এই পরাজিত প্রার্থী।

এদিকে, এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘যে কার্যালয়ে তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন; সেটি আমার ব্যক্তিগত নয়। এটি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় জনগণকে নাগরিক সেবা দেওয়ার একটি স্থান। সরকারি এই কার্যালয় থেকে ওয়ার্ডের জনগণ তাদের নাগরিক সেবা গ্রহণ করেন। আমার সঙ্গে তার মতবিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে সেবাদানকারী প্রাতিষ্ঠানিক কার্যালয়ের সামনে এমন হীন কর্মকাণ্ড করা শুধু আমার জন্য নয়; সমগ্র সিটি করপোরেশনের জন্য অপমানজনক। আমি ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের এ বিষয়ে অবগত করেছি। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল হক বলেন, ‘কার্যালয়ের সামনে পরাজিত প্রার্থী রুবেলের মূত্রত্যাগের বিষয়টি বর্তমান কাউন্সিলর আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কার্যালয়ে গিয়ে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অধিকার রাখে না। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে বিষয়টি জানিয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বৈঠক করবো।’

এ ব্যাপারে জানতে জহিরুল ইসলাম রুবেলকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।