বগুড়ায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা, মানুষের দুর্ভোগ

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানা বৃষ্টিতে শহরের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। 

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম বলেন, ‘সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা চলতি মৌসুম ও গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবং নিম্নচাপ থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে বৃষ্টিপাত। তবে পরিমাণ কম হবে। 

এদিকে, টানা বর্ষণে বগুড়া শহরের সাতমাথা, স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, বাদুরতলা, খান্দার, মালতি নগর, কাটনারপাড়া ও সুলতানগঞ্জপাড়াসহ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমেছে। এতে শহরজুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে কাটনারপাড়া ও সুলতানগঞ্জপাড়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার রাস্তায় হাঁটুপানি জমেছে। এসব সড়কের পাশের দোকানপাট ও বাসায় পানি ঢুকেছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। কর্মজীবীরাও অফিস যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।

দুর্ভোগে পড়ার কথা জানিয়ে শহরের অটোরিকশাচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সোমবার দিনভর যাত্রী পাওয়া যায়নি। আয় কম হওয়ায় রিকশা ও গ্যারেজ ভাড়া দিতে পারিনি। আজও একই অবস্থা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি। রাস্তাঘাটে মানুষজন নেই বললেই চলে।’

শহরের সাতমাথার মুদি ব্যবসায়ী মোরশেদ আলী বলেন, ‘সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির কারণে রিকশা কিংবা অটোরিকশা পাইনি। কারণ সাতমাথা রোডে হাঁটুপানি জমেছে। সকাল থেকে বৃষ্টি। চার পাশের রাস্তায় পানি জমেছে। ক্রেতা কম। বেচাকেনা নেই বললেই চলে।’ 

শহরের বৃন্দাবনপাড়ার ফল বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পাশে আম, কলা ও আনারস বিক্রি করি। কিন্তু বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে বেচাকেনা হচ্ছে না। তাই বৃষ্টিতে না ভিজে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছি।’