এসেই ভ্যানের চাবি চায় দুর্বৃত্তরা, ছুড়ে ফেলায় যাত্রীকে বেঁধে চালককে হত্যা

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় যাত্রীকে বেঁধে রেখে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ মে) ভোরে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের গাঁওপাড়া বাজার এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যানচালকের নাম কুদ্দুস আলী কালু (৩৫)। তার বাড়ি রাজশাহী চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছ গ্রামে। আর বেঁধে রাখা যাত্রীর নাম আবদুল আওয়াল (৫৫)। তিনি সবজি ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা গ্রামে।

ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) রাজিবুল হাসান, থানার ওসি ফারুক হোসেন, সিআইডি, পিবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আবদুল আওয়াল দাবি করেন, পুঠিয়ার রাজবাড়ী বাজারে সবজির ব্যবসা করি। প্রতিদিন ভোরে বিভিন্ন বাজার থেকে সবজি কিনে আনি। ভ্যানচালক কালুকে নিয়ে ভোরে নাটোরের তেবাড়িয়া হাঁটে যাচ্ছিলাম। পথে গাঁওপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে তিন জন অপরিচিত লোক আমাদের গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা আমাদের দুজনকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সড়কের পাশের একটি ফাঁকা জমিতে নিয়ে যায়। তার কাছে ভ্যানের চাবি চাইলে তিনি দূরে চাবি ছুড়ে ফেলে দেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কালুর চোখ-হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করে। তারা আমার কাছে থাকা সাড়ে ৪ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় কান্নাকাটি শুরু করলে আমারও হাত-পা বেঁধে রেখে চলে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন আলী বলেন, সকালে মহাসড়কের পাশ দিয়ে লোকজন হাঁটাহাঁটি করছিল। এ সময় পাশের জমি থেকে মানুষের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। পরে সেখানে গিয়ে একজনকে জবাই করা ও অপরজনের হাত-পা বাঁধা অবস্থা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়।

পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাটি রোমহর্ষক। ক্রাইম সিনে ছুরি পড়ে ছিল। আলামত উদ্ধারে সিআইডিকে ডাকা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের শনাক্তে সবজি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।