তবে প্রাণীটিকে শনাক্তকরণে সৃষ্টি হয়েছে নানা মত। কেউ বলছেন এটি মেছোবাঘ, কেউ বা বলছেন গন্ধগোকুল। আবার কেউ এটাকে খাটাশ বললেও কেউ বলছেন স্মল ইন্ডিয়ান সিভেট। খবর পেয়ে পরিবেশকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের ধারণা এটি মেছোবাঘের ছানা। তবে প্রাণীটি অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে ওই প্রাণীটি উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বি ও রাজু আহমেদ জানান, সকালে প্রাণীটি দেখতে পান গ্রামবাসী। এরপর এটিকে কৌশলে আটকে ফেলেন তারা। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান।
উপজেলা বন কর্মকর্তা সত্যেন্দ্রনাথ ও পরিবেশকর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাণীটি মাংসাশী। ইঁদুর, বিড়াল, মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী খেয়ে জীবনধারণ করে। সাধারণত এসব প্রাণী ঝোপঝাড় ও জঙ্গলে বাস করে। মাঝে মাঝে এদের নদী ও পুকুর পাড়েও দেখা যায়। এরা মানুষদের ভয় পায়, তাই লোকালয়ে আসে না। মানুষকে কামড়ায়ও না। পরিবেশের জন্য উপকারী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু জানান, বন্যার কারণে চারদিক ডুবে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে ওই শাবকটি হয়তো লোকালয়ে চলে এসেছে। ধারে-কাছে তার মা থাকতে পারে। এজন্য স্থানীয় ঝোঁপঝাড়ের পাশে অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।