কাজিপুরে বাঁধ ধসে যমুনায় বিলীন

জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছেউজানের পানি কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জ জেলা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত কয়েক দিন থেকে ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র দুই সেন্টিমিটার পানি কমলেও শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে যমুনার পানি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে যমুনায় ঘূর্ণাবর্তের পরিমাণ বেড়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিমে ডান তীরে বেড়েছে ভাঙন। শনিবার ভোরে জেলার কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ঢেঁকুরিয়ায় নদী তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার ব্লক বিছানো অংশ ধসে যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্ত আকস্মিক এই ধসের কারণ বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে।

খবর পেয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দীক ও পাউবোর লোকজন ওই স্থান পরিদর্শন করেন। অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজের অংশ হিসেবে ভাঙনকবলিত স্থানে জিওব্যাগে বালি ভরে নৌকার মাধ্যমে দ্রুত ফেলার জন্য তারা নির্দেশ দেন।

জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছেঅন্যদিকে, ভাঙনে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভাঙনের আশঙ্কায় নদী পাড়ের মানুষজন বাড়ির যিনিসপত্র সরাতে শুরু করেছেন।

মাইজবাড়ি ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, যমুনায় পানি কমতে থাকায় শুক্রবার রাত থেকে ঢেকুরিয়ায় শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্কের উত্তরে প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পাউবোর নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস নামে।

জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছেপাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম শনিবার দুপুরে ভাঙনস্থল থেকে জানান, শুক্রবার রাতে যমুনায় ঘূর্ণাবর্ত বেড়ে সেখানে ৫০ মিটার অংশ ধসে গেছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকালে স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি স্থানীয়দের দিয়ে পদক্ষেপও নিয়েছেন। পাউবো থেকে সেসব সমন্বয় করা হচ্ছে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দীক জানান, ভাঙনে কমলা বেওয়া নামে এক বিধবার ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। তাকে আপাতত শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আগামীতে তাকে পুনর্বাসন করা হবে। ৪/৫টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাউবোর লোকজন বৃষ্টির মধ্যে সকাল থেকে জিওব্যাগে বালি ফেলছে।