সাঁতার না জানলে অধ্যক্ষের প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল: তদন্ত কমিটি

অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে কর্মসূচিরাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্ছিতের পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে তদন্তের অংশ হিসেবে পুকুরের পানির গভীরতা মাপা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব এসএম ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, সাঁতার না জানলে অধ্যক্ষের প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল।

গত ২ নভেম্বর (শনিবার) রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর। সোমবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে কমিটির আহ্বায়ক এসএম ফেরদৌস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পুকুরের গভীরতা  মেপে দেখেছি ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীর। মাঝখানে গভীরতা আরও বেশি। এই হিসেবে বলা যায়, অধ্যক্ষ যদি সাঁতার না জানতেন তাহলে বিপজ্জনক কিছু ঘটতে পারতো বা তার প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল’। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি ধাপ মেনে তদন্ত করেছি। আশা করছি ভালো একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। তারপর মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গঠিত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অধিদফতরের পরিচালক (কারিকুলাম) ড. মো. নুরুল ইসলাম ও রাজশাহী মহিলা পলিকেনিটক ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুক।