দুপুর আড়াইটার দিকে ঘেরাও কর্মসূচি থেকে সরে এসে শনিবারের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বেধে দেওয়া ১২ দফা দাবি পূরণের সময়সীমা পার হওয়া পর বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একদফা দাবি হলো—ভিসি ও প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে ঘোষিত ১২ দফা হলো—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া উপাচার্যের সঙ্গে নিয়োগ প্রার্থী এক যুবকের অডিও বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, রিজেন্ট বোর্ডে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি রাখা, ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য গবেষণা বরাদ্দ, খেলার মাঠ উপযোগী করা, শহীদ মিনার নির্মাণ, গরিব শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ বা বিনা বেতনে অধ্যয়ন, ছাত্র কল্যাণ ফান্ড গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন, শিক্ষার্থীদের তথ্য সমৃদ্ধ যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্য নির্মাণ।
গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রথমে চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার চার দফা থেকে সরে এসে ১২ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বুধবার ১২ দফা থেকে সরে এক দফা দাবি দেন তারা।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার প্রক্টরিয়াল বডি, সব অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উপাচার্য। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।