আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন জেলে

নাটোরনাটোরের লালপুর উপজেলার নওপাড়া বাজার এলাকায় নেতাদের নিজ অফিসে বসানোর চেষ্টার জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অফিসের চেয়ার ও পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তোফা ও মাসুদ নামে দুই জনকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে এই আদেশ দেন আদালত।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ও মামলার আইও ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইমরান হোসেন জানান, বুধবার রাতে দুড়দুড়য়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময়ের জন্য নওপাড়া বাজার এলাকায় লালপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু, নাটোর জেলা তাঁতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাঘাসহ অন্য নেতারা আসেন। এ সময় দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নায়েব উদ্দিন মালিথার ছেলে ও লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পলাশ, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আগত নেতাদের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে বসার অনুরোধ জানান। অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তোফা ও তার লোকজন আগত নেতাদের তাদের অফিসে বসার জন্য বলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসের চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর ফের দু’পক্ষ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এ সময় আবু তালেব নামে আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। পরে কার্তিক কুমারের ছেলে বিকাশের বাড়ির বেড়া ভাঙচুর ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
এরপর তোফাজ্জল হোসেন তোফার নেতৃত্বে মিছিল বের হয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পানসিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী সাবরিনা খাতুন, একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে খোদাবক্স ও নওপাড়া গ্রামের মহাম্মদ আলীর ছেলে বাবুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের বেড়া ভাঙচুর ও বাড়ির মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তোফা ও মাসুদকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।