এর আগে সকালে আলালের বাবা মোজাহার আলী কাহালু থানায় যতন কর্মকারের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দয়ের করেন।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, যতন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছেও আলালের পেটে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, আলাল উপজেলার মুরইলে আফরিন জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। গত ২৫ অক্টোবর বেলা পৌনে ১১টার দিকে সহকর্মী যতন মেশিন পরিষ্কার করার হাওয়া মেশিনের পাইপ আলালের পায়ুপথে ঢুকিয়ে হাওয়া দেয়। এতে পেট ফুলে আলাল অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে মারা যায় আলাল।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জোবেদা টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিলে ১০ বছরের শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণকে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মহজমপুরে বিআর স্পিনিং মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু শ্রমিক মো. ইয়ামিনকে (১৬)। এছাড়া ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে মোটরগ্যারেজ শ্রমিক রাকিব হাওলাদারকে খুলনা শহরের টুটপাড়ায় একটি গ্যারেজে মলদ্বারে নল দিয়ে হাওয়া ঢোকালে সে মারা যায়।