শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা বড় চান্দাই গ্রামে খাউড়ার বিল থেকে উদ্ধার টুকরো টাকা কালো টাকা নয়। উদ্ধার হওয়া টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার নষ্ট বা বাতিল হওয়া টাকা। তবে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বাতিল টাকা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস না করে বিলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেছিল, কোনও কালো টাকার মালিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ওই টাকাগুলো ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিন বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে জালশুকা বড় চান্দাই গ্রামে খাউড়ার বিলে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষের ভিড়। বগুড়া-বাগবাড়ি সড়কের পাশের বিলে যাওয়া কাঁচা সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ১০ টাকা থেকে হাজার টাকা নোটের গোল ও বিভিন্নভাবে টুকরো করা অংশ। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ বিল থেকে টাকার টুকরো বস্তায় তুলছিলেন। সবার মুখে একই প্রশ্ন, বাতিল টাকা পুড়িয়ে না ফেলে বিলে ফেলা হলো কেন?
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা প্রথমে ভেবেছিলেন কোনও কালো টাকার মালিক প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে টাকাগুলো কেটে বিলে ফেলে গেছেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকে বাতিল টাকা পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা থাকার পরও ডাম্পিং করতে পৌরসভাকে দেওয়া হলো কেন, এর উত্তরে তিনি বলেন, বাতিল টাকা পুড়িয়ে ফেলা ও ডাম্পিং দুটিই করা যায়। তবে কত টাকা বাতিল হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
বগুড়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত কনভারজেন্সি ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, বাতিল টুকরো টাকাগুলো বাঘোপাড়া ডাম্পিং সেন্টারে ফেলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাকচালক মাসুমের বাড়ি ওই এলাকায় (জালশুকা) হওয়ায় সে না বুঝেই বিলে ফেলেছে।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল টাকা টুকরো ও গোল করে কাটার পর সেগুলো বিলে ফেলা হয়েছে। নমুনা হিসেবে আট বস্তা টুকরো টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।