ডেঙ্গু শনাক্তের কিট নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাচাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট নেই বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা। অভিযোগ স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই-একদিনের মধ্যে কিট আসবে।  

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার দুপুর ১২টা-বুধবার দুপুর ১২টা) চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও পাঁচ  জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে ২৩ জুলাই থেকে বুধবার (৩১ জুলাই)পর্যন্ত মোট ১৬ জন রোগী ভর্তি হন। এদেরমধ্যে একজনকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার জন। আর বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১ জন।

হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তৌফিক উদ্দিন জানান, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত সবাই শঙ্কামুক্ত। এখন পর্যন্ত জেলায় কোনও ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। আক্রান্তরা সবাই ঢাকা ফেরত।’

প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসকরা আলাদা মনিটরিং করছেন বলে জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী। 

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাদিম সরকার জানান, ‘ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, আমরা সেই পরামর্শ দিচ্ছি।’

হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি অসহায় ও দুস্থ ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতাল সমাজসেবা অধিদফতরের পক্ষ থেকে রক্ত পরীক্ষা ও ওষুধের জন্য আবেদন করা প্রতি রোগীকে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। একই রোগীকে প্রয়োজনে একাধিকবারও অনুদান দেওয়া হয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেছি। সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া সার্বিক বিষয়ে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইসিসিডিআরবিতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

রোগীদের অভিযোগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে কোনও সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গু শনাক্তকরণের কিট নেই।

এ প্রসঙ্গে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাদিম সরকার জানান, ‘কিটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) অথবা পরশু শুক্রবার (২ আগস্ট) ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটস হাসপাতালে এসে পৌঁছাবে।  আমরা আপাতত স্যালাইন ও মশারিসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।’