যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া আদালত বরাবর আসামির রিমান্ডের সরাসরি আবেদন করায় তাকে শোকজসহ সতর্ক করা হয় বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তাড়াশে গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের মালামাল উদ্ধারের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মানিক শেখ। তাড়াশ আমলি আদালতের পেসকার মো. আনোয়ার হোসেন ও এপিপি অ্যাড. নাসিম সরকার হাকিম এ তথ্য জানান।
তবে, তাড়াশ থানার এসআই মানিক শেখ দুপুরে বলেন, সার্কেল স্যার ছুটিতে থাকায় রবিবার সকালে অনুমোদনসহ রিমান্ডের আবেদন সংগ্রহ করতে পারিনি। তাড়াশ কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিআরও রুহুল আমিনকে বিষয়টি আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়। তিনি যথাযথভাবে আদালতকে বুঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিচারক আমাকে শোকজ করেন।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে তাড়াশ কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিআরও রুহুল অমিন গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, দুপুরে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সুপারের সঙ্গে একটি জরুরি সভায় থাকায় বিষয়টি আমার জানা নেই। সার্কেল অফিসের অনুমোদন ছাড়া রিমান্ডের আবেদন আদালতে সরাসরি জমা দেওয়াটাও যথাযথ নয়।
অন্যদিকে, তাড়াশে গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের মালামাল উদ্ধারের মামলায় আটক গোপালগঞ্জের সবুজ শিকদার, যশোরের আজিবর রহমান ও পিরোজপুরের সোহাগ শিকদারসহ তিন অপরাধীর জামিন ও রিমান্ডের আবেদন দু’টিই নামঞ্জুর করেন একই আদালত। পুলিশ কর্মকর্তার শোকজ ও সতর্কীকরণে একই আদেশের সঙ্গে উল্লেখিত তিন আসামীর জামিন ও রিমান্ড দুটোই নামঞ্জুর করা হয়।