সরকারি পুকুরের মাছ লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

জামালপুরে সরকারি পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা এস এম আপেল মাহমুদকে  দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। 

শনিবার (২৯ মার্চ) বিকালে জামালপুর পৌর শাখা বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি তরুণ হাসান কাজল ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পৌর শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মাসুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আপাতত তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছি। দলীয়ভাবে বসে স্থায়ী অব্যাহতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

এর আগে শনিবার ভোরে ফুলবাড়িয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় প্রাঙ্গণের সরকারি পুকুর থেকে জেলেদের দিয়ে মাছ লুট করে নিয়ে যান আপেল মাহমুদ। তিনি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন।

এদিকে, মাছ লুটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাউবোর জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন আপেল মাহমুদ। পাউবোর কার্যালয়ে গিয়েও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও করেছেন বলে জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা।

পাউবো কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার ভোরে আপেল মাহমুদ জেলেসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে পাউবোর পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুকুর পাড়ে গিয়ে তাকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই নেতা তাদের বিভিন্নভাবে শাসান। পরে পাউবোর কর্মকর্তারা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ওই নেতা মাছ ধরে নিয়ে যান। পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এসএম আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা আমার বক্তব্য থানায় গিয়ে নিয়ে আসেন। আমি কোনও বক্তব্য দেবো না।’

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, ‘সরকারি পুকুরের মাছ লুটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: সরকারি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেলেন বিএনপি নেতা