নেত্রকোনায় দুই দিনে ৯ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

নাশকতার মামলায় নেত্রকোনায় গত দুই দিনে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ জন চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ৫ জন সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং ৪ জন বর্তমান চেয়ারম্যান।

তারা হলেন- জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলী, দলপা ইউনিয়নের শাহীন মিয়া, মাসকা ইউনিয়নের আব্দুছ ছালাম বাঙালি, রোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লুৎফর রহমান আকন্দ, গড়াডোবা ইউনিয়নের কামরুজ্জামান খান সোহাগ এবং জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল হক, আসমা ইউনিয়নের মো. শফিকুল ইসলাম, সাহতা ইউনিয়নের মো. মিজানুর রহমান ও চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।

তাদের মধ্যে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কেন্দুয়া উপজেলার সদস্য সাবেক ৫ জন এবং গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বারহাট্টা উপজেলার বর্তমান ৪ জন চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

সাবেক ও বর্তমান ওই চেয়ারম্যানরা নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক কামাল হোসাইন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৬ সালের ৩০ মে কেন্দুয়ায় শোক মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপি। ওই মিছিলে হামলার ঘটনার ৮ বছর পর গত ২০ নভেম্বর কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে আওয়ামী লীগের ৫৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে ৫ জন সাবেক চেয়ারম্যানের উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বুধবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। কিন্তু বিচারক কামাল হোসাইন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অপরদিকে, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বারহাট্টার গোপালপুর এলাকায় সড়কের পাশে পতিত জায়গায় বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ছিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দুই বছর পর গত ২ সেপ্টেম্বর গোপালপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় বর্তমান ৪ চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত মঙ্গলবার তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মোখাম্মেল হক।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা কোর্ট পরিদর্শক-২ সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’