নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষক রফিকুল ওরফে রহিত মিয়া হত্যা মামলায় আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। একই মামলায় ২০১ ধারায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আট জনকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার নন্দেরছটি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, মজিবুর রহমান, আশ্রাব আলী, ছামেদুল, শাজাহান আলী, নজরুল ও নুরুল আমিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক মেম্বার প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে রফিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন পরাজিত প্রার্থী তোতা মেম্বার ও তার সমর্থকরা। এরই জেরে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি জমিতে সেচ দিতে গেলে রফিককে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়।
পরদিন ২৫ জানুয়ারি ভোরে চিনাকুরি বিলে তোতা মেম্বারের কৃষিজমি থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি দুর্গাপুর থানায় প্রতিপক্ষের লোকজনের নামে মামলা করেন নিহত রফিকের বাবা আব্দুল মোতালেব। তদন্ত শেষে পুলিশ তাদের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এক যুগ পর মামলার রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবুল হাশেম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম সৈকত। আইনজীবী আবুল হাশেম বলেন, ‘এটি দুর্গাপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা ছিল। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।’