নেত্রকোনার একটি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় নেছার আহমেদ নামে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাও আবার অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শুধু বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই শিক্ষার্থী। তবে ওই পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ অবস্থায় কলেজটিকে ঘিরে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ঘটনা এটি। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর এ তথ্য জানা গেছে।
দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ওই কলেজ থেকে এ বছর নিয়মিত কোনও পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। তবে অনিয়মিত এক শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত জিপিএ কত- তা জানা সম্ভব হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির দুরবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের পাঠদানের অনুমতি দিয়েছে বোর্ড। তাই এ বিষয়ে কিছু লেখার সুযোগ আমাদের নেই। তবে বোর্ড যদি আমাদের লিখতে বলে, তাহলে আমরা এসব বিষয় বোর্ডকে জানাব।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থী বাংলায় অকৃতকার্য হয়েছিল। তাই এ বছর সে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছে। তবে এ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠানের ১০-১২ জন শিক্ষার্থী থাকলেও তারা কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার পাঠদান কার্যক্রম সক্রিয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আগে কলেজ শাখায় প্রতি বছরই বেশ কিছু শিক্ষার্থী থাকতো। পাঠদানও হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় নানা রকম সংকটের কারণে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে থাকতে চায় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়। পরে এটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ হিসেবে উন্নীত হয়। গত ২০১৮ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছেন। গত ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে কৃতকার্য হন ৪ জন এবং অন্য ৫ জন অকৃতকার্য হন। অকৃতকার্যদের মধ্যে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় নেছার আহমেদ অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।