শসা নিতে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৯

মালিকের অনুমতি ছাড়া ক্ষেতের শসা তুলে নিয়ে যাওয়ার জেরে নেত্রকোনায় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলায় কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে পাশের বাহাম গ্রামের ফারুক, রফিক ও রাহুলসহ কয়েকজন আমাদের ক্ষেতের শসা অনুমতি ছাড়াই তুলে ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের বাধা দেওয়ায় তারা আমার ভাতিজা আল ফারুককে পিটিয়ে জখম করে। এরই জেরে সোমবার সকালে ফের তারা ৩০-৪০ জন দলবেঁধে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তারা ঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। দরজা, জানালা কেটে ফেলে। আলমারিতে থাকা দুই লাখ টাকাও নিয়ে যায়। হামলায় আল ফারুক, সবুজ মিয়া ও ফুলচানসহ ৯ জন আহত হন।’ এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রফিকুলের ভাই আবদুল আলিম বলেন, ‘কিছু না বলেই তারা আমাদের শসা নিয়ে যাচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। সকালে বিশাল দলবেঁধে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, ফ্রিজ ও ট্রাক্টর মেশিনসহ হাতের কাছে যা পেয়েছে সবকিছু কুপিয়ে কেটে ফেলেছে। যারা বাধা দিয়েছে বা ফেরাতে গিয়েছে সবাইকে কুপিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা হামলাকারী তিন জনকে আটক করেছেন, এমন খবর পাওয়া গেলেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ফারুক, রফিক ও রাহুলসহ কাউকেই যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’