ডুবেছে নেত্রকোনার শতাধিক গ্রাম, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার তিন উপজেলার ২০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিন উপজেলার অন্তত ৩৫০ হেক্টর জমির আমন ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শতাধিক গ্রামের বসতঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। কেউ কেউ গবাদিপশু ও পাখি নিয়ে বসবাস করছেন গ্রামের উঁচু জায়গায় কিংবা সেতুর ওপর। এ অবস্থায় গোখাদ্য, শিশুখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছেন পানিবন্দি লোকজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ছয়, কলমাকান্দার সাত, পূর্বধলার তিন ও বারহাট্টা উপজেলার চার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সব ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। রবিবার পূর্বধলা এবং দুর্গাপুর উপজেলার জারিয়া ও জাঞ্জাইলের নাটেরকোনায় দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় লোকালয়ে ঢুকছে পানি। এতে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমেশ্বরী নদী ও ধনু নদের পানিও বেড়েই চলছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার পানিবান্দি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। পানিবন্দিদের মাঝে ৩ টন চাল ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেন তিনি।