চার্জে দেওয়া মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল আলম নোমানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার সময় নগরীর বাউন্ডারি রোডের নিজ বাসায় মারা যান তিনি।
এই তথ্য নিশ্চিত করে পরিবারের সদস্যরা জানান, হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রাত ১টার পর বাসায় ফেরেন। তারপর বাসায় মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত ৩টার সময় মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ হন। তাকে মৌসুমী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তারিকুল ডিউটি শেষে রাত ১টার দিকে নিজ বাসায় ফেরেন। তিনি আলাদা একটি কক্ষে একা ঘুমাতে যান। ওই সময় নিজ বিছানার পাশে প্রতিদিনের মতো মোবাইল ফোন মাল্টিপ্লাগে চার্জ দেন। মোবাইলটি বিস্ফোরিত হলে দগ্ধ হন ঘুমন্ত এই চিকিৎসক। এতে তার দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। এদিকে পোড়া গন্ধ আর আওয়াজ পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সহকর্মী অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মতিউর রহমান জানান, ডা. নোমান সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি ৭ থেকে ৮ বছর ধরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থ বিভাগে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের বেগুনবাড়িতে। তার মৃত্যুতে পরিবার এবং চিকিৎসক সমাজ শোকাহত।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ১টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনের মতো অস্ত্রোপচার শেষে বাসায় ফেরেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরক্ত না করে তিনি আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। বিছানার পাশে রাখা মাল্টিপ্লাগে নিজের মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ধারণা করছি, মোবাইলটি চার্জে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়ে শরীরে আগুন ধরে যায়। কী কোম্পানির মোবাইল ছিল, তা জানা যায়নি। পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।