জানা গেলো ৩ লাশের রহস্য, হত্যার পর পুঁতে রাখেন আলী হোসেন

ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী আলী হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২২ মে) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা পুলিশের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শামীম হোসেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর আসামি আলী হোসেন স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। গত ১৭ মে বাড়িতে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে একই ওড়না পেঁচিয়ে প্রথমে বড় ছেলে এবং পরে ছোট ছেলেকে হত্যা করে মাটিচাপা দেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আলী হোসেন স্ত্রীর নামে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। সেই টাকা শোধে স্ত্রী সহায়তা না করায় দুই মাস আগে স্ত্রী-সন্তান হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আলী হোসেন ১৬ মে রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে ডেকে তোলেন এবং ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করেন। এরপর একইভাবে দুই সন্তানকে হত্যা করেন। পরে মরদেহগুলো বাড়ির কাছে জমিতে পুঁতে রেখে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে জিনিসপত্র গুছিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

গত ২১ মে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ত্রিশাল উপজেলার চকরামপুর এলাকায় একটি গর্ত খুঁড়ে আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (২৫), ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪) ও আড়াই বছরের আরেক সন্তান আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই রাতেই আমেনার মা হাসিনা খাতুন আলী হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।