বদলির ২৩ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের মেকানিক আতিকুর রহমান নয়ন। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পর রবিবার (১৯ মে) তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেন।
২০২২ সালের ১৯ মে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক আতিকুর রহমান নয়নকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় থেকে আটপাড়া উপজেলায় বদলির আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পর তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেন।
আতিকুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ জুন কলমাকান্দা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় থেকে বদলির ছাড়পত্র গ্রহণ করলেও আটপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে যোগদান করেননি। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে এখন পর্যন্ত আটপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের হাজিরা খাতায় তার নাম থাকলেও উপস্থিতি খাতায় তার কোনও স্বাক্ষর নেই।
আটপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপসহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই কার্যালয়ে তার বদলির আদেশ হওয়ায় হাজিরা খাতায় নিয়মিত নাম তোলা হলেও তিনি কর্মস্থলে হাজির হননি। রবিবার তিনি যোগদান করেন। তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, মেকানিক আতিকুর রহমান নয়ন বড়খাপন, পোগলা ও কৈলাটি ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকাকালীন সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপনে সরকারি ফান্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে জমাকৃত ডিডির পরিবর্তে উপকারভোগীদের নিকট থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় ২০২২ সালের ১৯ মে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তাকে আটপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। অনিয়মের তিন লাখ টাকা পরিশোধ না করায় একই বছর ৩০ জুন তিনি বদলির আদেশ গ্রহণ করলেও এলপিসি গ্রহণ করেননি। বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী অবগত আছেন।
এ বিষয়ে মেকানিক আতিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী মুহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, বদলি করার পর যথারীতি তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। মেকানিক আতিকুর রহমান কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘ সময় তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি। রোববার তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।’