শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক হাজার ২৯২ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় রুহুল আমিন (৪৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রুহুল আমিনের বাড়ি ও গুদামসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা এসব চিনি জব্দ করা হয়। গ্রেফতার রুহুল আমিন নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানি এলাকার শের আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানি, কাকরকান্দি বাজারে তার দোকান ও গুদাম রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারকের আদেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন সীমান্তবর্তী রুটে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চোরাই চিনি বাংলাদেশে ঢুকছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি ও নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রুহুল আমিনের বাড়ি ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় থাকা গোডাউন থেকে মোট এক হাজার ২৯২ বস্তা চোরাই চিনি উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
উদ্ধার করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৬২ টন ও এগুলোর বাজার মূল্য প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন বলেন, এই চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজন সম্পৃক্ত রয়েছেন। গ্রেফতার রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আশা করছি, তার মাধ্যমে আরও তথ্য পাবো।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি, শেরপুরের সীমান্ত গলিয়ে চিনিগুলো আসছে না। সেগুলো আসছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তের চোরাপথে। তবে শেরপুরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখানে ‘স্টোর প্লেস’ (মজুত স্থান) হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সেটি প্রতিরোধেও কাজ করছি।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় থানায় ডিবির করা একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার রুহুল আমিনকে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।