ইজতেমা থেকে ফেরার পথে ট্রাক উল্টে ৩ মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নিহত

টঙ্গীতে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের ভালুকায় ট্রাক উল্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জন হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন।

নিহতরা হলেন জেলার গফরগাঁও উপজেলার আবুল কালাম আকন্দের ছেলে নাইম (১৩), ভালুকার পাইলাবর এলাকার ফারুক খানের ছেলে সানাউল্লাহ সজল (১৯) ও ফজলু (১৮)। তার বাবার নাম জানা যায়নি। তারা সবাই ভালুকা উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভালুকা উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাতেম খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাকায় নেওয়ার পথে ফজলু নামে আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তবে তার নাম ছাড়া অন্য কিছু জানা নেই।’ পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৩ জন ভর্তি হয়েছিল। এর মাঝে সানাউল্লাহ সজল নামে একজন মারা যায়। বাকি ১২ জনের মাঝে ৫ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।’

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘ভালুকা জামিয়া ইসলামীয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যান। মোনাজাত থেকে সবাই একটি ট্রাকে করে মাদ্রাসায় ফিরছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢালিবাড়ী মোড় ইউটার্নের কাছাকাছি আসতেই ট্রাকের সামনে থানা একটি কাভার্ডভ্যান ইউটার্ন নিতে দেখে তাৎক্ষণিক ব্রেক করেন ট্রাকচালক। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ট্রাকে থাকা সবাই আহত হয় ও নাইম আকন্দ নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।’

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান আতাউর রহমান।