গ্রেফতাররা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ইসহাক মিয়া (৩০) ও রবিউল মিয়া (২০)। তাদেরকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আদালতের বিচারিক হাকিম মোহসিনা হোসেন তুশি আগামী রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার নালিতাবাড়ীর পশ্চিম রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়ির লোকজন একই গ্রামের নানা বাড়িতে থাকা কিশোর মনিরুলকে সন্দেহ করে। ওইদিন তাকে গ্রামের একটি রাস্তা থেকে ধরে আনে ইসহাক ও রবিউলসহ অন্যরা। পরে তাকে বাড়ির নারিকেল গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আত্মীয়রা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কিশোরকে দেখতে যান।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরের নানা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নালিতাবাড়ী থানায় আলী হোসেন, ইসহাক ও রবিউলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ইসহাক ও রবিউলকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল হক বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার মনিরুলের বাবা ও মায়ের মধ্যে ছাড়ছাড়ি হয়ে গেছে। বর্তমানে কিশোরটির মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবাও তার কোনও খোঁজ করেন না। তাই কিশোরটি তার নানার আশ্রয়ে থাকে।’
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল বলেন, ‘মোবাইল চুরির সন্দেহে গাছে বেঁধে কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’