সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ভবনের কাজের তথ্য চাওয়া নিয়ে প্রকৌশলীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনায় এক সাংবাদিককে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যামণ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল এ সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রোকনুজ্জামান টিপু দৈনিক কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ ইমরান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন তৈরির কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন সাংবাদিক টিপু। এ সময় তালা উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তখন উভয় পক্ষ ইউএনওকে বিষয়টি জানান। তিনি এসে শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে রায় দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম বলেন, ‘আমি ভবনের কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক টিপু কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার মুখে ঘুষি মারে। বিষয়টি আমি ইউএনওকে জানাই। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে টিপুকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন।’
সাংবাদিক টিপু বলেন, ‘কাজের মান খারাপ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম আমাকে কোনও প্রকার সহযোগিতা না করে কাছে থাকা ছাতা দিয়ে মারতে শুরু করেন। আমি তাকে প্রতিরোধ করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, ‘এ সময় আমি অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। অফিসে ফিরে শুনি উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারপিট করা হয়েছে।’
ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, ‘একজন সাংবাদিক আমার একজন কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন- এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। উপস্থিত শ্রমিকদের সাক্ষ্য গ্রহণে ঘটনা সত্যতা প্রমাণিত হয়। তাই তাকে দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারায় ১০ দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম হাকিম এবং সাধারণ সম্পাদক জোয়াদ্দার ফারুক হোসেন।