১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া এলজিইডি প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

এল‌জিইডি খুলনার কয়রা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম হা‌বিবুল্লাহকে দুদকের মামলায় দু‌টি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় হা‌বিবুল্লাহ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়‌টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়া‌ছিন আলী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, প্রকৌশলী হা‌বিবুল্লাহ কয়রা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে উপজেলা হেড কোয়ার্টার-হায়াতখালী জিসি-গিলাবা‌ড়ি জি‌সি সড়ক (চেই ০০-২৪০০ মিঃ) পুনর্বাসন (অংশ-১) প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। এ কাজের ঠিকাদার ছিলেন তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মুন্সি। কাজ সমাপ্তির জন্য প্রকৌশলী হা‌বিবুল্লাহ এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে উক্ত ঠিকাদার তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়ে ১০ হাজার টাকা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রদানে সম্মত হন। ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল ঘুষ দাবি এবং সম্ভাব্য লেনদেনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক বরাবর উক্ত কাজের ঠিকাদার আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ করে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলে তাকে জানানো হয়।

দুদক কর্মকর্তারা তাকে ধরার ফাঁদ পাতেন। এ উদ্দেশে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ঘুষের টাকা বাবদ ১০টি এক হাজার টাকার নোট প্রদান করেন ওই ঠিকাদার। যার নম্বর উক্ত ঠিকাদার আগে থেকে সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ঘুষের টাকা দিয়ে ঠিকাদার ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র দুদক কর্মকর্তারা ওই প্রকৌশ‌লীর চেম্বারে প্রবেশ করেন এবং তার প্যান্টের বাম পকেট থেকে ঘুষের নগদ ১০ হাজার এবং অতিরিক্ত ৫০০ টাকা উদ্ধার করেন।

ওই সম‌য়ে তার টেবিল থেকে কয়রার উক্ত কাজের নথিও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলার উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী বাদী হ‌য়ে কয়রা থানায় ওই দিন এক‌টি মামলা করেন। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল প্রকৌশলী হা‌বিবুল্লাহকে আসামি করে আদালতে এক‌টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।