স্ত্রী-শ্যালকের মারধরের পর গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাইনগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়াছিন গাজী (৩২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালিঞ্চি এলাকার মাদার নদীর চর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ইয়াছিন কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বরিশালে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন—সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুই দিন আগে বরিশালের ইটভাটা থেকে বাড়িতে আসেন ইয়াছিন। ডিভোর্স দেওয়া প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার জেরে রবিবার বিকালে বাড়ির পাশে ইয়াছিনকে মারধর করেন দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্যালক। তবে রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে তার শ্যালকসহ অন্যরা ধাওয়া দিলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। সকালে মাদার নদীর অপর প্রান্তে কালিঞ্চি এলাকার নদীর চরে বাইনগাছে লাশ ঝুলতে দেখা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ‌‘ডিভোর্স দেওয়া প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ইয়াছিনের ঝগড়া হয়। পরে তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার জেরে বাড়ি ও জমির দলিল প্রতিবেশী রাশিদুল ইসলামের কাছে দিয়ে নিজের ছেলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেছেন ইয়াছিন। তখন রাশিদুলকে বলেছেন আত্মহত্যা করবেন। তবে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করলে পুলিশ আসল কারণ জানতে পারবে।’

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, ‘লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইয়াছিন আত্মহত্যা করেছেন নাকি মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’