বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা কামাল খানের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই কাউন্সিলরের অভিযোগ, সোমবার রাত ৯টার দিকে বিএনপির লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে কেশবপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর কামাল খানের বাড়িতে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে করে ২০-২৫ লোক হামলা চালায়। এ সময় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র মালামালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় কামাল খান বাড়িতে ছিলেন না। হামলার সময় দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় ছিলেন কামাল খানের স্ত্রী।

কামাল খানের স্ত্রী উর্মি খানম বলেন, ‘একদল লোক কামালের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে বাড়িতে আসলে আমি ভয়ে দোতলায় উঠে যাই। তারপরে তারা দরজা ভেঙে ঘরের আসবাব ভাঙচুর করে। তারা কামাল খানকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

কামাল খান বলেন, ‘বিএনপির লোকজন হামলা করেছে। কেশবপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা বাবু কাউন্সিলরের ভাই যুবদল নেতা উজ্জ্বলসহ ২০-২৫ জন হামলায় অংশ নেয়। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বলে আমার বাড়িতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা এসে বাড়িতে ঘুরে গেছে। ভাঙচুরে আমার দেড় লাখ টাকার মতো জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে।’

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওই ঘটনার কথা জানার পর এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। স্থানীয়রা কেউ বলতে পারছেন না ঘটনায় কারা জড়িত।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উজ্জ্বল একসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর কমিটির সদস্য ছিল। বেশ আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সাবেক কাউন্সিলর কামাল খান, উজ্জ্বল তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতো।’ 

কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙচুরের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ঘটনায় কারা জড়িত, তা বলতে পারেননি কামাল খানের স্ত্রী।’