প্রেমের সম্পর্কের জেরে খুন হন যশোরের ব্যবসায়ী জহিরুল, দাবি ডিবির

যশোরের মণিরামপুরে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১১ ডিসেম্বর সকালে মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর এলাকার বাটবিলা এলাকায় রাস্তার ধারে পড়েছিল স্যানিটারি ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের (৫২) রক্তাক্ত লাশ। 

ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর দেবব্রত হরি বলেন, মূলত প্রেমের কারণেই খুন হন কোনাকোলা বাজারের ব্যবসায়ী উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের খোরশেদ সানার ছেলে জহিরুল।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাইফুন নাহার মণিরামপুর থানার মামলা করেছেন। এরপর ডিবি ও থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, মোটরসাইকেল ও তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা পুলিশকে জানিয়েছে, জহিরুল কোনাকোলা বাজারের স্যানিটারি ব্যবসা করেন। তিনি শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের (৩৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এর আগে মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের (৪৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। জহিরুলের বিষয়টি জানাজানি হলে মর্জিনার সঙ্গে শফিকুলের দূরত্ব হয়। সম্প্রতি ওই নারী আগের প্রেমিক শফিকুলকে গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত প্রতিশোধ নিতে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার (১০ ডিসেম্বর) দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সহযোগী মামুন হোসেনের (২৩) সহযোগিতায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ ও মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

জেলা ডিবি ইনচার্জ জানান, মর্জিনাকেও থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেফতার দুই জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।