অবৈধ সম্পদ: খুলনা পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকসহ ৪ জনকে তলব

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদসহ চার জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক খুলনা কার্যালয়ে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়।

দুদক জানায়, পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এজন্য তলব করা হয়েছে।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের সই করা পত্রে ৩০ অক্টোবর বেলা ১১টায় খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট মুন্সি শহিদুল আলম, অফিস সহকারী আফসানা আনসারী ও পরিচালকের গাড়িচালক শামীম আহমেদকে তলব করা হয়। খুলনা দুদকের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৫ নভেম্বর বেলা ১১টায় খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম ২৪ অক্টোবরই দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর মহাপরিচালকের কাছে পৃথক একটি পত্র দেন। পত্রে তিনি আবু সাঈদের বিষয়ে কিছু নথিপত্র চেয়েছেন। নথির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় আবু সাঈদের বিরুদ্ধে সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার নেতৃত্বাধীন কমিটি কর্তৃক কোনও বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন হলে সে সংক্রান্ত নথির কপি, এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কপি, ২০০৪ সালে অভিযুক্ত পরিচালক আবু সাঈদ সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন কিনা? তাকে তখন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা? কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা? এই সংক্রান্ত তথ্যের রেকর্ডপত্র চেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। যা আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে চেয়েছেন।