এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার। এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। সব বোর্ডের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে এই ফল প্রকাশ করা হয়। এবার অটো পাসে যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। গত বছর পূর্ণ মার্কের পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে শীর্ষ স্থানে ছিল খুলনা। যশোর বোর্ডের আজকের ঘোষিত ফল ও ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ফল পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
২০২৪ সালের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, খুলনা জেলায় পাস করেছেন ১৬ হাজার ৬৮০ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ। প্রথম অবস্থানে থাকা যশোর জেলায় পাস করেছেন ১৫ হাজার ১০ জন, পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া বাগেরহাট জেলায় পাস করেছেন চার হাজার ৬৯৩ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৫৫ দশমিক ০৪ শতাংশ, সাতক্ষীরা জেলায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৩৬৮ জন, পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ, কুষ্টিয়া জেলায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৬২২ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাস করেছেন চার হাজার ৩৭২ জন, পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মেহেরপুর জেলায় পাস করেছেন দুই হাজার ৬০ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, নড়াইল জেলায় পাস করেছেন তিন হাজার ৪৯৩ জন, পাসের হার ৬১ দশমিক ২৭ শতাংশ, ঝিনাইদহ জেলায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৩৫১ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, মাগুরা জেলায় পাস করেছেন চার হাজার ১১৫ শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘২০২০-২১ সালে করোনাকালে প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। ওই সময়টাতে ইংরেজিতে একটু লার্নিং গ্যাপ হয়। ফলে ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেনি। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এ তারা এগিয়ে রয়েছেন।’
২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ফল অনুযায়ী, এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা ১০ জেলার মধ্যে ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে শীর্ষ স্থানে ছিল খুলনা জেলা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঝিনাইদহে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৮৪ দশমিক ২৪ শতাংশ পাসের হার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল সাতক্ষীরা। নড়াইল জেলায় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যশোর জেলার পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, কুষ্টিয়ায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ৭৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মেহেরপুরে ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, মাগুরা জেলায় ৭৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বাগেরহাটে ৭৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।