এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬২ বন্দি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮৭ জন বন্দির মধ্যে গ্রেফতার হয়ে ফেরত এসেছেন ২৫ জন। এখনও পলাতক আছেন ৬২ জন।

গত ২ অক্টোবরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে বন্দি ছিল মোট ২৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২২২ এবং নারী ১৪ জন। কারাগারের অনুমোদিত ধারণক্ষমতা ৪০০; যার মধ্যে পুরুষ ৩৬০ এবং নারী ৪০ জন।

বর্তমানে ২৩৬ জন বন্দির মধ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে আছে ৩ ছেলেশিশু ও ১ মেয়েশিশু। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পুরুষ বন্দি আছেন ২ জন। বিদেশি বন্দি আছেন ৩ জন। বর্তমানে কারাগারে মিয়ানমারের কোনও বন্দি না থাকলেও ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা আটক ছিলেন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী কোনও বন্দি কারাগারটিতে না থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছেন ৩ জন।

সূত্রটি আরও জানায়, বর্তমানে ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজতি না থাকলেও পুরুষ হাজতি আছেন ১৫৮ জন এবং নারী হাজতি রয়েছেন ১০ জন। বিনাশ্রম কয়েদিদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ৩ জন। সশ্রম কয়েদি পুরুষ ৩৬ এবং নারী ১ জন।

অপরদিকে, কারাগারের অভ্যন্তরে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা মোট ২০টি, কক্ষ সংখ্যা ৫টি। সহকারী সার্জনের পদ রয়েছে ১টি, ডিপ্লোমা নার্সের পদ রয়েছে ১টি এবং ফার্মাসিস্টের পদ রয়েছে আরও ১টি। এ ছাড়া কারাহাসপাতালে ভর্তি বন্দি রোগী রয়েছেন ২ জন। বাইরের হাসপাতালে বন্দি রোগী রয়েছেন ১ জন।

কারা সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা অসহায় দরিদ্র বন্দির মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫ জন বন্দির আইনি সহায়তার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে ২৯ জন অসহায় বন্দির জন্য প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেল সুপার এনায়েত উল্ল্যাহ বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ১ জন জেলারের পদ শূন্য রয়েছে, যেখানে ডেপুটি জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করছেন। এ ছাড়া খালি আছে ৭ জন কারারক্ষীর পদও।

জেলা কারাগারটির সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ করা হলে সকল কাজে আবারও গতি ফিরে আসবে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান বলেন, ‘কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের গ্রেফতারে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’