খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবিতে কুয়েটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি উপাচার্য থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্যাতন করেছে দাবি করে এর বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সেখানে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, জাহিদুর রহমান, মুজাহিদ, আরাফাত হক, সাপ্তি, জীবন, ফাহিম ও ভুক্তভোগী কর্মচারী ফিরোজ আহমেদ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ভিসি হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্যাতিত হয়েছেন। তার আমলে সংঘটিত অপকর্মের তদন্তের দাবিতে ইতিপূর্বে দেওয়া স্মারকলিপির দ্রুত তদন্তের দাবি জানান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মছুদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে টানা ৮ বছর কুয়েটের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে পরবর্তী চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও অব্যাহত রাখার স্বার্থে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়মিত চেয়ারম্যান নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই এ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এর আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ পদত্যাগ করার পর আলমগীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।