ঝিকরগাছায় বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত, ৩৫ নেতাকে সতর্ক করে চিঠি

শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই কারণে জেলার ৩৫ নেতাকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) এ চিঠি দেওয়া হয়।

সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। তিনি বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে আগেই ওই কমিটির নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় পুরো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ জন নেতাকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ 

খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘নেতা যে পদমর্যাদারই হোক, তিনি দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নন। কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কিংবা রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) ঝিকরগাছা উপজেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাত জন আহত হন। আহতরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি (৪৮), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম (৬৫), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সাত্তার (৭০), উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুন্নবী মুরাদ (৫৭), পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান হোসেন কাঁকন (৪৫), উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুসা মিন্টু (৪০) এবং কামাল হোসেন (৩৮)। 

দলীয় সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় জেলা বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।