ডুমুরিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার টোলনা গ্রামের কৃতি শিক্ষার্থী ও অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার টোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

এ সময় বিভিন্ন মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও অধ্যয়নরত ৩৯ কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে সংবর্ধিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে টোলনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ২২ জন গুণী শিক্ষককেও সম্মানিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক ছিলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী জমীম সরদার। তার সহযোগিতায় ছিলেন এলাকার সংগঠকরা।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হায়দার আলী বিশ্বাস, বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী জজ দোলন হাসান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিএম আবুল বাশার, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (টোলনা জেপিডিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়) পীর মোহাম্মদ বিশ্বাস, প্রফেসর মো. শাহিদুল ইসলাম (হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়), সমাজসেবক নৃপেণ মন্ডল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম (রঘুনাথপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ও সাংবাদিক নূরুল ইসলাম নিরব প্রমুখ।

আয়োজনকারীদের মধ্যে ছিলেন টোলনা গ্রামের জুলফিকার আলী ভুট্টো, শাহীন আলম বিশ্বাস, মশিউর রহমান, জিয়াউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন সরদার, আজহারুল ইসলাম, আছাবুর বিশ্বাস, ইউসুফ বিশ্বাস ও রিপন বিশ্বাস প্রমুখ।

যে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন হায়দার আলী, শফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, দোলন হাসান, নূরুল ইসলাম নিরব, আলমগীর হোসেন, আবুল বাশার, আলামিন, হাফিজুর, শাহাদাৎ, পারভেজ জাহান, তৌফিকুর রহমান, আনিস, জিপ্পি, রুহুল, সুমন, রেজাউল, মিনহাজ, জুয়েল, কামরান, ইউসুফ হোসেন, মুজিব, জাহাঙ্গীর, আশিক, বিএম সাগর, মেজবাহ, তন্ময়, বাদল, সাকিব, তৌফিক, ইউসুফ বিশ্বাস, সাবিয়া সূলতানা, ইরিন, সোনিয়া, শায়লা আক্তার ও নাসরিন খাতুন প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক বাবু কিরণ চন্দ্র বৈরাগী (রঘুনাথপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়)। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই শিক্ষাকে যথাযথ সম্মানিত করতে না পারলে শিক্ষার প্রকৃত অর্জন বিলীন হতে বাধ্য। বহু বছর পর হলেও আমরা আমাদের টোলনা গ্রামের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মানিত করতে পেরেছি। এটা আমার শেষ জীবনের এক বড় প্রাপ্তি। আমরা আশা করছি আগামীতেও গুণীজনদের সম্মানিত করার এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’