খেজুরের রস পান করে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির ছয় শিক্ষার্থী খেজুরের রস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সরসপুর বেলতলা নামক স্থান থেকে খেজুরের রস খেয়ে বমি ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর দুপুরের দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো- শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সদর উপজেলার চরবিলা গ্রামের রকিব মোল্লার ছেলে তামীম মোল্লা, নবম শ্রেণির ছাত্র একই গ্রামের এরশাদ মন্ডলের ছেলে রেজওয়ান মন্ডল, দশম শ্রেণির ছাত্র ফোলিয়া গ্রামের লিটন মোল্লার ছেলে নাহিদ মোল্লা, দশম শ্রেণির ছাত্র একই গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হয়দারখোলা গ্রামের মুরাদ মোল্লার ছেলে মুবিন মোল্লা ও নবম শ্রেণির ছাত্র ইলিনদি গ্রামের ওবায়দুর রহমানের ছেলে ফাহিম হোসেন।

অসুস্থ ছাত্র তামীম জানায়, রবিবার স্কুলে আসার পর সকাল ১০টার দিকে তারা ১০-১২ বন্ধু স্কুল থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী সরসপুর বেলতলা নামক স্থানে গিয়ে খেজুরের রস পান করে। কিছু সময়ের মধ্যে তার বমি শুরু হয়। চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারায়। অন্যদেরও বমিসহ একইভাবে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।

তামীমের মা ঝরনা বেগম বলেন, সন্তানের অসুস্থতার খবর শুনে তাকে দ্রুত এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।দুপুরের দিকে ভর্তির সময় তামীম খুবই অসুস্থ ছিল। সে আমাদের চিনতে পারছিল না। স্যালাইন ও ওষুধ প্রয়োগের পর সন্ধ্যার দিকে অবস্থার বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুল হক শিমুল বলেন, খেজুরের রস পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছয় শিক্ষার্থীই আপাতত শঙ্কামুক্ত। রসের সঙ্গে পয়জন (বিষ) জাতীয় কোন কিছু থাকার কারণে তারা রস পান করার পর বমিসহ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিপাহ ভাইরাস লক্ষণ প্রকাশ পায় রস পানের দুই-তিন পর। যেহেতু রস পানের সঙ্গে সঙ্গে বমিসহ অসুস্থতা দেখা দিয়েছে তাই তাদের এই ভাইরাসে সম্ভাবনা নেই।