জামানত হারালেন মাশরাফির ৭ প্রতিদ্বন্দ্বী

নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় ১৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। দুটি আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং চার জন স্বতন্ত্র। এর মধ্যে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার সাত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। পাশাপাশি নড়াইল-১ আসনে নৌকার প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তির ছয় প্রতিদ্বন্দ্বী জামানত হারিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ‌‘নড়াইলের দুটি আসনে ১৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলে দেখা যায়, নড়াইল-১ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৩২৬ জন। বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ১৬৫টি। যার মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি এক লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক পেয়েছেন ৮৮১ ভোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুই হাজার ১৯৭, জাতীয় পার্টির মিল্টন মোল্যা তিন হাজার ৭৫৪, জেপির শামীম আরা পারভীন ৫১৩, তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী ৫৬৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার শাহাদাত হোসেন এক হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দুই লাখ তিন হাজার ২১১ জন। তার মধ্যে তিন হাজার ৪২৫টি বাতিল হয়েছে। বৈধ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা এক লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাত প্রার্থীর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান চার হাজার ৪১, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ এক হাজার ৯০৯, এনপিপির মনিরুল ইসলাম ৫৮০, গণফ্রন্টের লতিফুর রহমান ৫৮২, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান এক হাজার ৮৫২, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর ইসলাম এক হাজার ৩৬৩ এবং সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু পেয়েছেন ৩৫৬ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জামানত ফেরত পেতে কোনও প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একটি ভোট বেশি পেতে হয়। নড়াইলের দুটি আসনে ১৩ প্রার্থীর কেউ ওই পরিমাণ ভোট পাননি। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’