নির্বাচনি পথসভায় কাজী নাবিল

ঢাকা-চট্টগ্রামের পর তৃতীয় অর্থনৈতিক করিডোর হতে যাচ্ছে যশোর-খুলনাঞ্চল

সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু যশোরেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার আইটি পার্ক তৈরি করে দিয়েছেন। সারা দেশের মেগা প্রকল্পের মধ্যে তিনি যশোরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। যার ফলে আগামীতে ঢাকা, চট্টগ্রামের পর এই যশোর-খুলনাঞ্চল হতে যাচ্ছে তৃতীয় অর্থনৈতিক করিডোর।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের বাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে চলেছেন, ঠিক সেই সময় বিএনপি-জামায়াত মেতেছে নাশকতায়। তারা ট্রেনলাইন উপড়ে ফেলছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে।’

তাদের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘২০০১-২০০৬ সময়কালে তারা সিরিজ বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, রাজনৈতিক দলের নেতাদের হত্যা করে। এটাই ছিল তাদের রাজনীতি।’

পথসভায় উপস্থিত ভোটারদের একাংশ

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাজী নাবিল বলেন, ‘সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, ক্ষুদ্র সব ভেদাভেদ ভুলে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। এখনও হাতে সময় রয়েছে ছয় দিন। আমরা সকলে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সপক্ষে ভোটারদের সচেতন করি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। এই নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করবে।’

নিজের বিশ্বাসের কথা জানিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আস্থা শেখ হাসিনার ওপরেই রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

যশোরবাসীর সেবা করতে পারাকে নিজের সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করে কাজী নাবিল আরও বলেন, ‘আমি বিগত ১০ বছর আপনাদের সঙ্গে কাজ করেছি। আপনাদের কথা মহান জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছি। এই অঞ্চলে অনেক কাজ করেছি। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সবাই নৌকা মার্কাকেই বিজয়ী করবে।’ দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

নির্বাচনি পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, ‘যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে, তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা ভেজাল। নেত্রী আমাদের যে আদেশ দিয়েছেন, তা সকলকে মানতে হবে।’

নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই সংসদ সদস্য

সারা জীবন আওয়ামী লীগ করে এখন স্বতন্ত্রের কালি গায়ে মাখা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনোই তার বক্তব্যে নৌকার বাইরে ভোট দেওয়ার কথা বলেননি। সবখানেই তিনি ভোট চাইছেন নৌকায়। ভোটের পর এই স্বতন্ত্ররাও বিএনপির মতো বলবে, তাদের কেন্দ্রে যেতে দেয়নি, তাদের ভোট দিতে দেয়নি ইত্যাদি।’

ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচনি পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত) আলেয়া আফরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মীর জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ।