মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজস্ব সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এসব তথ্য দেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ আগস্ট মনিরামপুর থানার পলাশী গ্রামে মনির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ডাকাতরা সেখান থেকে সোনার গহনা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ ২ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা হয়।
অপরদিকে, ২৮ আগস্ট গভীর রাতে ঝিকরগাছা থানার নির্বাসখোলা গ্রামে রানা বিশ্বাসের বাড়িতে ডাকাতি হয়। সেখান থেকে ডাকাতরা সোনা ও রূপার গহনা, নগদ টাকা ও এয়ারগানসহ ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায়ও ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়।
দুটি ডাকাতির ঘটনায় নাভারণ সার্কেল ও মণিরামপুর সার্কেল এএসপির তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাতদের শনাক্ত করে।
এরপর সোমবার ভোর রাতে শার্শা থানার নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন-সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার শংকরপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে বাহার আলী তরফদার (৪০), শ্যামনগর থানার জয়নগর গ্রামের আনছার গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে রেজাউল ওরফে গুড্ডু (৪০) ও আশাশুনি থানার বুধহাটা শ্বেতপুর গ্রামের মৃত মকছেদ সরদারের ছেলে আব্দুস সালাম সরদারকে (৫৫) গ্রেফতার করে। এরপর ডাকাতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাতিকৃত গহনার ক্রেতা যশোরের ঝিকরগাছা থানার মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে তহিদুর রহমান ওরফে কালুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগদ ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, ১টি এয়ারগান, ২ ভরি ৯ আনা ওজনের সোনার গহনা উদ্ধার করে। এছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি ওয়ান শুটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ১টি মোটরচালিত ভ্যানগাড়ি, একটি শাবল, ১টি চাকু, ১টি সেলাই রেঞ্জ ও ১টি লোহার রড জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে ঝিকগাছা থানায় তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার, জুয়েল ইমরান, ইন্সপেক্টর সোয়েব আহমেদসহ ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা।