বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেটের ব্যবহার, ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র

ওয়ান টাইম কাপ



করোনাকালে ঝিনাইদহে বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেটের ব্যবহার। হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার ও চায়ের দোকানে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ব্যবহার শেষে সেগুলো ফেলা হচ্ছে পাশের পুকুর, ডোবা, ড্রেন কিংবা রাস্তার পাশে। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা ওয়ান টাইম এসব পাত্র ছাড়া খাচ্ছেন না খাবার। অতিরিক্ত খরচ হলেও এসব পাত্রে খাবার পরিবেশন করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে ফেলার সঠিক স্থান না থাকায় যত্রতত্র ফেলতে হচ্ছে তাদের।

ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকার চা দোকানি মানিক মিয়া বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার বেড়েছে। আগে চায়ের কাপে দিতাম। এখন অনেকেই কাপ ব্যবহার করছেন না। বাধ্য হয়ে ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার করতে হচ্ছে।

ওয়ান টাইম কাপ
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার এক চা দোকানি বলেন, ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহারের পর ক্রেতারা যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। নির্ধারিত পাত্র রাখলেও তা ব্যবহার করছেন না তারা। আরাপপুর এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর যখন হোটেল চালু হলো তখন থেকেই ওয়ান টাইম প্লেটে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় পাশের গর্তে ফেলতে হচ্ছে।
পরিবেশবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করা হলে এগুলো জমে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে পৌরসভা, বাজার কমিটির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ওয়ান টাইম কাপ
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ওয়ান টাইম গ্লাস ও প্লেট ব্যবহার উপকারি হলেও তার ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালাচ্ছি।’